Posts

জীবন বদলানোর গুরুত্বপূর্ন কিছু কথা।

প্রতিদিন খবরের কাগজে, সোশাল মিডিয়ায়, টেলিভিশনে অনেক দুর্ভাগা মানুষের খবর আসে। খেতে না পেয়ে মরমর শিশু, সব হারিয়ে নিঃস্ব কত বৃদ্ধ- বৃদ্ধাকে দেখে আমাদের বড় মায়া হয়, আমরা জিব নেড়ে চুকচুক করে সহানুভূতিসূচক একটা শব্দ করে চ্যানেল পাল্টাই। একটু কল্পনা করো তুমি পা ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে আছো।কেউ তোমার ছবি তুলে ফেসবুকে দিল সেটি সাথেসাথে ভাইরাল হয়ে গেছে হাজার হাজার লাইক উঠছে সবাই আহারে টাইপ কমেন্ট করছে- যতক্ষণ না কেউ এসে তোমাকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে নিচ্ছে এত হাজার হাজার মানুষের সহানুভূতিতে তোমার পায়ের যন্ত্রণা কি এতটুকু কমেছে? তুমি কী ভাবছো সেটা বিষয় না, যতক্ষণ না মাঠে নেমে সেটিকে সত্যি করছো এই ভাবাভাবির কোন মূল্য নেই। পৃথিবীর খুব সুন্দর একটি ব্যাপার হচ্ছে জীবনের কোন দুঃখই চিরস্থায়ী না একটি প্রতিযোগিতামূলক কাজ যদি সহজ হয় তাতে বিশেষ আগ্রহের কিছু নেই। কাজটি যত কঠিন আনন্দ তত বেশি খাটুনি, খাটুনি সইতে না পেরে কিছুক্ষণ পরই একটু একটু করে মানুষজন হাল ছেড়ে দিতে শুরু করবে। কয়জন থাকবে নাছোড়বান্দা তারা দাঁত কামড়ে পড়ে থাকবে জিনিসটি নিয়ে, এবং দেখা যাবে আস্তে আস্তে তারা বাদে ব

জীবন বদলানোর কিছু কথা।

“অমুক তো ভাই অনেক মেধাবী! তার সাথে কি আমাদের তুলনা চলে?” এই কথাটি যে কত জায়গায় কতবার শুনেছি হিসেব নেই। এই কথাটি শুনলে কেন যেন আমার ভীষণ রাগ হয়, ব্যাপারটা অনেকটা খেলতে নামার আগেই পরাজয় মেনে নেওয়ার মতো। অমুক খুব ট্যালেন্টেড বুঝলাম, কিন্তু আমার চেয়ে কতগুণ মেধাবী সে? আমি যদি প্রতিদিন তার থেকে ডাবল খাটুনি করি কেন আমি তার চেয়ে ভাল করবো না? এইসব কথায় কখনো মন খারাপ করার কিছু নেই। তুমি জানো তোমার কী কী প্রতিভা আছে এবং সেটা দিয়ে একদিন পৃথিবী বিজয় করে ফেলা সম্ভব।পরীক্ষার খাতায় কম মার্কস পাওয়া দিয়ে আসলে কিছু আসে যায়না।  আত্মবিশ্বাস আর আত্মমর্যাদাটুকু ধরে রাখতে পারলে জীবনে আর কিছু লাগে না। তুমি চাইলে অতি অবশ্যই ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারবে, অবশ্যই চমৎকার লিখতে পারবে, প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকলে বিজয় অবশ্যই আসবে, আসতে বাধ্য। একটু হিসেব করে দেখো তো আজকে সারাদিনে কীভাবে কেটেছে তোমার? হয়তো ক্লাসে গিয়েছো, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছো, ঘুরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি। আচ্ছা এবার অন্যকিছু ভাবা যাক। আচ্ছা বলো তো, তোমার কী কী শখ আছে? জীবনে বড় হয়ে কী হওয়ার ইচ্ছা? নি

ঋতুরাজ বসন্ত নিয়ে কবিতা।

ঋতুরাজ বসন্ত                       ---সাফিনুর আলম এলো এলো বসন্ত এলো শীতের অবসরে, তখনও যেন শীতের আভাস রইল চুরি করে। বসন্ত বলে ওগো শীত চলে যাও গো তুমি, আর কতদিন থাকবে তুমি বলতো একটু শুনি। দুটি মাস নিয়ে আমি করব এবার খেলা, কোকিলের কণ্ঠ সুর হয়নি মোর শেখা। দক্ষিন হওয়া বইতে থাকে বসন্তের হুকুমে, উত্তরে বাতাস বিদায় নিল আমারই তো ভয়ে। নতুন করে জন্ম নীল রং বেরঙের ফুলে, কুহু ধ্বনি সুরে মাতাল কোকিলের সুরে। শিমুল-পলাশ-কৃষ্ণচূড়া লাগে আগুনের রং, শুরু হয়ে যায় জন্মভূমিতে বাঙালির কত ঢং। এলো এলো বসন্ত এলো শীতের অবসরে, তখনও যেন শীতের আভাস রইল চুরি করে।

সাইকেল কবিতা।

সাইকেল                        সাফিনুর আলম চাকা ঘরে বন বন ছোটে গাঁই গাঁই,  সাইকেলে কি মজা স্কুলে যায়। জোরে চলো আরো জোরে দেরি যদি হয়। স্কুলে বসে যায় ঠিক এগারোটায়। চাঁপাপুকুর যেয়ে দেখি যদি পড়ে গেট, অমনি হাত চেপে  কষে ধরি ব্রেক। পাশাপাশি হুশ হুশ চলে বড় রেলগাড়ি। সাইকেল পিছিয়ে থাকলেও যায় তাড়াতাড়ি

মাটির বিছানা কবিতা।

        মাটির বিছানা                              ~~~~সাফিনুর আলম মায়ের স্নেহে ভালোবাসার নেই কো তুলনা, সেই মাকে আজ দিলে তুমি  কাটার বিছানা। মা যে আমার সোনার মনি মা যে তোমার গর্ভধারিনী। সেই মায়ের আজ মুখে তুমি অন্ন দিলে না। যদি সোনার পাহাড় এনে দাও সামনে কোনদিন, বিনিময়ে শোধ হবে না, মায়ের দুধের ঋণ। সেই মায়ের আজ মরন কালে কাফন দিলে না, চাওয়া পাওয়া শেষ হল আজ  মাটির বিছানায়।

মা কে নিয়ে কবিতা।

            মা                      সাফিনুর আলম সবার থেকে বাসি ভালো, আমি আমার মাকে। মা ছাড়া আর কেউ যে নেই, মোর এই পৃথিবীতে। মা-ই আমার জীবন মরন, মা-ই আমার ভালোবাসা। মায়ের জন্য আমার, এই পৃথিবীতে আশা। তাই তো আমি সকল কাজে, মাকে স্মরণ করি। কোনো সময় ভয় পেলে গো, মায়ের আঁচল ধরি।

স্টুডেন্ট গাইড কর্নার নিয়ে কবিতা।

    স্টুডেন্ট গাইড কর্নার                                            ~~~ সাফিনুর আলম "স্টুডেন্ট গাইড কর্নার"সত্যিই খুব সুন্দর, দেখলে সবার প্রাণ জুড়িয়ে যায়,নেই কোনো তার মন্থর। "স্টুডেন্ট গাইড কর্নারে"আমরা সবাই পড়ি, যাদের স্নেহে আমরা শিক্ষা পাই,তাদেরকে স্মরণ করি শিক্ষকরা কতই ভালো পড়ান ভালোবেসে, নতুন জীবন ফিরে পেলাম "স্টুডেন্ট গাইড কর্নার" এ এসে। আলামিন দাদা অংকের জাদুকর দেখতে লাগে মজা, কঠিন অংকের প্যাঁচ গুলো সব করে দেন সোজা। ইংরেজি টা কঠিন বিষয় লাগতো খুবই ভয়, দাদা এসে বুজিয়ে বলেন ভয়ের কিছু নাই। ইংরেজি grammar সহজ করে বলেন যখন তিনি, Narration এর নিয়ম গুলি সহজেই আমি চিনি। জীবন বিজ্ঞানে পন্ডিত অতি আমরা দাদাকে জানি, তিনি অতি জ্ঞানী-গুণী তাকে আমরা মানি। হাফিজুল দাদা বাংলা পড়ান,শুনতে লাগে ভালো- তারই কথা শুনে আমাদের জীবন হল আলো। ব্যাকরণের জটিলতা বুঝিয়ে তিনি ছাড়েন, কথার পিঠে কথার মালা সাজিয়ে তিনি বলেন। বাংলা ভাষায় পন্ডিত তিনি ভুল হয় না তাতে, এমনভাবে বুঝিয়ে বলেন মন ভরে যায় তাতে। দাদা আমাদের ভূগোল পড়ান হয়না তাতে গোল, বুঝে পড়ে দেখ