Posts

SGC এর পিকনিক                                     -----সাফিনুর আলম মন্ডল ৩০শে জানুয়ারি SGC তে হইল এক পিকনিক, সেই আনন্দে স্টুডেন্টদের মন করল ধিক ধিক। সবাই মিলে চললাম দূর দিয়াড়াতে, আনন্দের খোঁজ মিলল রাস্তার মাঝেতে। Wonder World Park এ গিয়ে যেই কাটল টিকিট, ভিতরে ঢোকার জন্য মন করছিল নিশপিশ। Wonder World Park এর দৃশ্য চোখে পড়ল যখনই, মনটা আনন্দে কেঁপে উঠলো তখনই। হাঁটতে হাঁটতে চললাম পিকনিক স্পটে, চোখ দুটো দেখলো চেয়ে রঙিন ফুল গুলোকে। দোলনা চাপলাম,বোর্ড চাপলাম,ছিলনা কোনো শর্ত, আল-আমিন দাদার সঙ্গে নেচে Iceland এর মেঝেটা করে দিলাম গর্ত। রাঁধুনি রাধছিলো বসে ভেজডাল আর মাংস, হাফিজুল দাদা বললো এসে সবাই চল ডিস্কই। নাচ করল,গান করল,করল কেউ রোমান্স, আমাদের পিকনিকে আনন্দ পেলাম বোনাস। শেষ করলাম খাওয়া-দাওয়া চললাম নিজের বাড়ি, দমদমে এসে বাসটি দিল মোদের সঙ্গে আড়ি। ছাত্র নাচল, ছাত্রী নাচল,নাচল চারি দাদা, সেই আনন্দে বাসের ইঞ্জিন দিল শুধু বাধা। রাত দুটো বাজলে পরে ফিরলাম নিজের বাড়ি, বাড়ি ফিরে যে যার মত লেপ দিলাম মুড়ি।

জননী মায়ের কবিতা।

জননী                               ---সাফিনুর আলম রাস্তা দিয়ে যাচ্ছে হেঁটে একটি ছোট্ট ছেলে, পরনে তার ছেড়া কাপড় হাতটি ছিল মেলে। বাড়িতে তার অসুস্থ মা সঙ্গেতে তার ভাই। মায়ের জন্য কিনবে ঔষধ হাত পেতেছে তাই। সারাটা দিন ঘুরে ঘুরে  দুটি টাকা হল, তাই দিয়ে সে অমনি মায়ের ঔষধ কিনে নিল। দিনের শেষে ঔষধ নিয়ে বাড়ি আসে ফিরে, অবাক হয়ে দেখলো বাছা মা গিয়েছে মরে।

অচেনা জীবন

অচেনা জীবন                          --সাফিনুর আলম আমার পিছনে আমি, সেই শৈশব কাল। আজ বেশ কিছু বৈশাখ শেষে, দুই হাত মিলিয়ে দেখি-- হাত দুটো মেলেনি এক সাথে। সময় ছুটে চলেছে একঘেয়ে-- বুড়ি ছুঁয়ে এ জীবন। একাকী সবাই হয়ত এভাবে পড়ন্ত বিকেলের নিঝুম ঝুড়ি নামা বট। নিথর দাঁড়িয়ে এখনও সেই অবিকল । আয়নায় সবাই মুখ দেখে, কেউ কেউ থাকে অচেনা অবছায়া-- মুখোশ আর মুখ মাখামাখি একসাথে। কেউ পাশে থাকে কেউ চলে যায় পশ্চাতে। আর কেউ কেউ থেকে যায় অবিচল।

জীবন বদলানোর গুরুত্বপূর্ন কিছু কথা।

প্রতিদিন খবরের কাগজে, সোশাল মিডিয়ায়, টেলিভিশনে অনেক দুর্ভাগা মানুষের খবর আসে। খেতে না পেয়ে মরমর শিশু, সব হারিয়ে নিঃস্ব কত বৃদ্ধ- বৃদ্ধাকে দেখে আমাদের বড় মায়া হয়, আমরা জিব নেড়ে চুকচুক করে সহানুভূতিসূচক একটা শব্দ করে চ্যানেল পাল্টাই। একটু কল্পনা করো তুমি পা ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে আছো।কেউ তোমার ছবি তুলে ফেসবুকে দিল সেটি সাথেসাথে ভাইরাল হয়ে গেছে হাজার হাজার লাইক উঠছে সবাই আহারে টাইপ কমেন্ট করছে- যতক্ষণ না কেউ এসে তোমাকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে নিচ্ছে এত হাজার হাজার মানুষের সহানুভূতিতে তোমার পায়ের যন্ত্রণা কি এতটুকু কমেছে? তুমি কী ভাবছো সেটা বিষয় না, যতক্ষণ না মাঠে নেমে সেটিকে সত্যি করছো এই ভাবাভাবির কোন মূল্য নেই। পৃথিবীর খুব সুন্দর একটি ব্যাপার হচ্ছে জীবনের কোন দুঃখই চিরস্থায়ী না একটি প্রতিযোগিতামূলক কাজ যদি সহজ হয় তাতে বিশেষ আগ্রহের কিছু নেই। কাজটি যত কঠিন আনন্দ তত বেশি খাটুনি, খাটুনি সইতে না পেরে কিছুক্ষণ পরই একটু একটু করে মানুষজন হাল ছেড়ে দিতে শুরু করবে। কয়জন থাকবে নাছোড়বান্দা তারা দাঁত কামড়ে পড়ে থাকবে জিনিসটি নিয়ে, এবং দেখা যাবে আস্তে আস্তে তারা বাদে ব

জীবন বদলানোর কিছু কথা।

“অমুক তো ভাই অনেক মেধাবী! তার সাথে কি আমাদের তুলনা চলে?” এই কথাটি যে কত জায়গায় কতবার শুনেছি হিসেব নেই। এই কথাটি শুনলে কেন যেন আমার ভীষণ রাগ হয়, ব্যাপারটা অনেকটা খেলতে নামার আগেই পরাজয় মেনে নেওয়ার মতো। অমুক খুব ট্যালেন্টেড বুঝলাম, কিন্তু আমার চেয়ে কতগুণ মেধাবী সে? আমি যদি প্রতিদিন তার থেকে ডাবল খাটুনি করি কেন আমি তার চেয়ে ভাল করবো না? এইসব কথায় কখনো মন খারাপ করার কিছু নেই। তুমি জানো তোমার কী কী প্রতিভা আছে এবং সেটা দিয়ে একদিন পৃথিবী বিজয় করে ফেলা সম্ভব।পরীক্ষার খাতায় কম মার্কস পাওয়া দিয়ে আসলে কিছু আসে যায়না।  আত্মবিশ্বাস আর আত্মমর্যাদাটুকু ধরে রাখতে পারলে জীবনে আর কিছু লাগে না। তুমি চাইলে অতি অবশ্যই ক্লাসে ফার্স্ট হতে পারবে, অবশ্যই চমৎকার লিখতে পারবে, প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা থাকলে বিজয় অবশ্যই আসবে, আসতে বাধ্য। একটু হিসেব করে দেখো তো আজকে সারাদিনে কীভাবে কেটেছে তোমার? হয়তো ক্লাসে গিয়েছো, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়েছো, ঘুরাঘুরি খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি। আচ্ছা এবার অন্যকিছু ভাবা যাক। আচ্ছা বলো তো, তোমার কী কী শখ আছে? জীবনে বড় হয়ে কী হওয়ার ইচ্ছা? নি

ঋতুরাজ বসন্ত নিয়ে কবিতা।

ঋতুরাজ বসন্ত                       ---সাফিনুর আলম এলো এলো বসন্ত এলো শীতের অবসরে, তখনও যেন শীতের আভাস রইল চুরি করে। বসন্ত বলে ওগো শীত চলে যাও গো তুমি, আর কতদিন থাকবে তুমি বলতো একটু শুনি। দুটি মাস নিয়ে আমি করব এবার খেলা, কোকিলের কণ্ঠ সুর হয়নি মোর শেখা। দক্ষিন হওয়া বইতে থাকে বসন্তের হুকুমে, উত্তরে বাতাস বিদায় নিল আমারই তো ভয়ে। নতুন করে জন্ম নীল রং বেরঙের ফুলে, কুহু ধ্বনি সুরে মাতাল কোকিলের সুরে। শিমুল-পলাশ-কৃষ্ণচূড়া লাগে আগুনের রং, শুরু হয়ে যায় জন্মভূমিতে বাঙালির কত ঢং। এলো এলো বসন্ত এলো শীতের অবসরে, তখনও যেন শীতের আভাস রইল চুরি করে।

সাইকেল কবিতা।

সাইকেল                        সাফিনুর আলম চাকা ঘরে বন বন ছোটে গাঁই গাঁই,  সাইকেলে কি মজা স্কুলে যায়। জোরে চলো আরো জোরে দেরি যদি হয়। স্কুলে বসে যায় ঠিক এগারোটায়। চাঁপাপুকুর যেয়ে দেখি যদি পড়ে গেট, অমনি হাত চেপে  কষে ধরি ব্রেক। পাশাপাশি হুশ হুশ চলে বড় রেলগাড়ি। সাইকেল পিছিয়ে থাকলেও যায় তাড়াতাড়ি